ইসলাম গ্রহণ করেছেন ক্যামেরুনের দু’বারের কিংবদন্তি ফুটবলার প্যাটট্রিক এমবোমা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত শুক্রবার নিজ শহর দৌলা’র একটি মসজিদে জু’মার নামাজের পর কালিমা পড়ে মুসলিম হন দু’বারে আফ্রিকান নেশনস কাপ (আফকন) জয়ী স্ট্রাইকার। কয়েক মাস গবেষণার পর ইসলামের মাহাত্ম্য বুঝতে পারেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) সাবেক এই তারকা।
মসজিদে এমবোমার ‘কালিমায়ে শাহাদাৎ’ পাঠ করার মুহূর্তে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ৫১ বছর বয়সী ফুটলবার ইসলাম গ্রহণের পর নামও বদলে ফেলেছেন। এখন থেকে প্যাটট্রিক এমবোমাকে সবাই চিনবে ‘আব্দুল জলিল’ নামে। ক্যামেরুন ও বিশ্বের মুসলিম কমিউনিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের নতুন ভাইকে।
১৯৯৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর ২০০৪ পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৩৩ গোল করেন এমবোমা। ২০০০ ও ২০০২-এ টানা দু’বার ক্যামেরুনকে আফ্রিকান নেশনস কাপ জেতান তিনি।
২০০০ নেশন্স কাপের গ্রুপ পর্বে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে এক গোল করেন এমবোমা। কোয়ার্টার ফাইনালে জালের দিশা না পেলেও জ¦লে উঠেন সেমিতে। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে করেন জোড়া গোল
ফাইনালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষেও জালের দিশা পান এমবোমা। তবে অতিরিক্ত সময়ের পরও ২-২ সমতা থাকায় পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায় ম্যাচটি। সেখানেও স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে ৪-৩ ব্যবধানে এনে দেন শিরোপা।
আফ্রিকান নেশনস কাপের পরের আসরেও দুর্দান্ত খেলেছেন এমবোমা। গ্রুপ পর্বে এই স্ট্রাইকার করেন ২ গোল। তার একমাত্র গোলে মিশরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ক্যামেরুন। ওলেম্বের জোড়া গোলে মালিকে ৩-০তে উড়িয়ে তারা শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় সেনেগালের। গোলশূন্য সমতার পর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে চতুর্থবারের মতো নেশনস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যামেরুন। তিন গোল নিয়ে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতা হন প্যাটট্রিক এমবোমা।
ক্যামেরুনের সর্বকালের সেরা গোলদাতা এমবোমা ২০০০ সালে পান আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব। সে বছরই ক্যামেরুনকে অলিম্পিক সোনা এনে দেন জেতেন এই স্ট্রাইকার। ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই ছাড়াও ইতালিয়ান ক্লাব কালিয়ারি ও পার্মার হয়ে খেলেছেন। ক্লাব পর্যায়ে সব দল মিলিয়ে ৩১২ ম্যাচে ১৩৫ গোল তার। পিএসজির হয়ে ১৯৯৫ সালে জিতেছেন ফ্রেঞ্চ কাপ ও ফ্রেঞ্চ লীগ কাপ। এছাড়া পার্মাতে ২০০২ সালে জেতেন কোপা ইতালিয়া শিরোপা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকজন ফুটবলার ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন। ২০০২ সালে ফ্রান্সের ফ্রাঙ্ক রিবেরি নিজেকে মুসলিম বলে ঘোষণা করেন। জার্মানির ড্যানি ব্লাম ও গত মার্চে নেদারল্যান্ডসের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ক্লারেন্স সিডর্ফ মুসলিম হন। সবশেষ ইসলামের ছায়াতলে এলেন এমবোমা।