সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কাশ্মীর হামলা নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পাকিস্তানী শীর্ষ কিছু গণমাধ্যম। যেখানে এই হামলার পিছনের গোপন গোয়েন্দা নথি ফাঁস করে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তান টেলিভিশন, জিও নিউজ এবং পাকিস্তান অবজার্ভারের মত প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে ভয়াবহ সেই তথ্যচিত্র। পাকিস্তান দাবি করছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে অমুসলিম পর্যটকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নিজেই করেছে ভারত আর এর দায় সুকৌশলে পাকিস্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয় মাত্র ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করছে, এটি ছিল পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করার একটি কৌশল মাত্র।
যদিও পাকিস্তানের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত স্পষ্ট কোন জবাব দেয়নি। এদিকে আবার পাকিস্তান সাময়িকভাবে সীমান্তে তৎপরতা বাড়িয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর থেকেই দুদেশের সীমান্তে বিরাজ করছে সীমাহীন উত্তেজনা। এই বুঝি যুদ্ধ লেগে গেলো, এরই মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে।
এসবের মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তিল্লা ময়দানে বড় আকারের সামরিক মহড়া চালিয়েছে, যেখানে সেনাপ্রধান আসিম মুনির ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে জানান, “পাকিস্তান যে কোনো সামরিক আগ্রাসন শক্তভাবে প্রতিহত করতে প্রস্তুত, তবে আমরা আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার পক্ষেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এই ঘটনা আবার নাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে, তিনিও দিয়েছেন কড়া ভাষায় জবাব।
এদিকে কাশ্মীর হামলার পিছনে নরেন্দ্র মোদির ষড়যন্ত্র ইতিমধ্যে ফাঁস হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও। আর পাকিস্তানও এই ইস্যুতে ভারতকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিয়ে কথা বলছে না। দুদেশের সম্পর্ক এখন এতটাই উত্তপ্ত যে, যেকোন সময় লেগে যেতে পারে যুদ্ধের দামামা। পারমাণবিক শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ লেগে গেলে তা হবে দুদেশের জনগণের জন্যই ক্ষতির কারণ, এমনটিই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
খুলনা গেজেট/এনএম