জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওমায় আবার দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। বিজেপি কাউন্সিলরকে গুলিতে ঝাঁঝরা করেছে বন্দুকধারীরা। পুলওয়ামা এলাকায় বিজেপি কাউন্সিলর রাকেশ পন্ডিতাকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে বন্দুকধারীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার ওই নেতাকে বলা হয়েছিল, নিরাপত্তা ছাড়া তিনি যেন এক পাও বাড়ির বাইরে না বেরোন! কারণ বহু দিন ধরেই তাকে টার্গেট করেছিল উগ্রবাদীরা। বুধবার কোনো রকম নিরাপত্তা ছাড়াই প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই বিজেপি কাউন্সিলর। আর তখনই বন্দুকধারীরা ওই বাড়িতে ঢুকে এলোপাথারি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। বন্দুকধারীদের এমন দুঃসাহসিক কাজের পর পুলওয়ামায় পরিবেশ থমথমে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ও সেনার বড় দল। বন্দুকধারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই।
এই হামলায় রাকেশের প্রতিবেশী এক যুবতী গুরুতর আহত হয়েছেন। কাশ্মীরে বিজেপির কাজকর্মের বড় দায়িত্ব সামলাতেন রাকেশ। যুব সম্প্রদায়ের বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই তিনি বহু দিন ধরেই উগ্রবাদীদের টার্গেট ছিলেন। এদিন সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী মোস্তাক আহমেদের বাড়িতে কোনো এক দরকারে গিয়েছিলেন রাকেশ। তখনই বন্দুকধারীরা তার ওপর হামলা চালায়। প্রতিবেশী মোস্তাক আহমেদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে বন্দুকধারীরা। তারপর শুরু হয় এলোপাথাড়ি ফায়ারিং। মোস্তাক আহমেদের মেয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মূলত রাকেশ পন্ডিতাকে লক্ষ্য করেই গুলি ছুড়েছিল বন্দুকধারীরা। কিন্তু ওই সময় আসিফা মুস্তাক নামের ওই যুবতী তার পাশেই ছিলেন। ফলে তার শরীরেও বুলেট বিঁধে যায়।
দু’জনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা রাকেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের বিশাল দল সেনা কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনা ও পুলিশ। চলছে সার্চ অপারেশন। তবে এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলওয়ামা এলাকায় বিজেপির প্রচারের মুখ ছিলেন রাকেশ পন্ডিতা। বিজেপির কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরু দায়িত্ব ছিল তার ওপর। এর আগেও একাধিকবার বন্দুকধারীরা তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল।
সূত্র : নিউজ ১৮
খুলনা গেজেট/কেএম