সাদা কাশফুলে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে যশোরের অভয়নগরে একতারপুর গ্রামের অনন্তনগর এলাকার আকিজ ডেইরী ফার্মের বিস্তীর্ণ বালুর মাঠে। শুভ্রতা ছুঁতে শত শত প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন। এই ভিন্নরকম আনন্দে যোগ দিচ্ছেন শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ। ছবি আর সেলফি তুলে স্মৃতি হিসেবে ক্যামেরাবন্দি করছেন নিজেদের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঋতুর রানী শরতের অপরূপ নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর মুগ্ধ কাশফুল তার অপরূপ সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। আর প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য দেখতেই ছুটছে রসিক লোকজন। এই বালুর মাঠে ক্লান্তি দূর করে চারদিকে প্রশান্তির মায়াবী আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে শরতের সাদা কাশফুল। নীলচে আকাশে সাদা মেঘের খুনসুটি আর দিগন্তজোড়া কাশফুলের দোল খাওয়ার দৃশ্য মন কাড়বে যে কারো।
উপজেলার পায়রা বাজার থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী তমা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা মনের আকুতি পূরণে বান্ধবীদের সাথে এখানে ছুটে এসেছি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে শরতের কাশফুল। একটা সময় বিভিন্ন জায়গায় কাশবনের কাশফুলগুলো দোল খেত মৃদু বাতাসে, এখন তেমন দেখা যায় না। তাই অনেক দিন পর এখানে কাশফুল হওয়ায় ঘুরতে এসেছি ভালো লাগছে অনেক।
উপজেলার একতারপুর গ্রামের গ্রামতলা এলাকার শাহ্ আলমের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন বলেন, লোকমুখে শুনে কাশবনে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছি। শরতের অপরুপ সৌন্দর্যময় কাশবনে এসে খুব ভালো লাগছে। গোঘুলীর সময়ে মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল বাতাসে দুলতে দেখে মনটা সত্যিই আনন্দে ভরে ওঠে।
কাশবনে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছেন উপজেলার ধোপাদী গ্রামের নতুন বাজার এলাকার জুনায়েদ শেখ। তিনি বলেন, ঘরবন্দি থাকতে থাকতে মনমানসিকতা কেমন যেন হয়ে গেছে। তাই একটু বিকেলটা ভালোই কেটাতে এখানে এসেছি। এসে অন্য রকম অনুভূতি মন ভরে যায়। কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় মনটাও যেন নরম হয়ে যায়।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমি এখানে নতুন জয়েন করেছি। কাশফুল দেখতে যাওয়া হয়নি। দর্শনার্থীদের যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সব সময় বদ্ধপরিকর।
খুলনা গেজেট/এএজে