দেশের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় আজ সোমবারও বিস্তৃত থাকবে চলমান শৈত্যপ্রবাহ। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তা কমতে শুরু করবে। অর্থাৎ চলতি শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানান, শনিবারের তুলনায় গতকাল শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি কমে এসেছে। আজ সোমবারও এই শৈত্যপ্রবাহ উত্তর-পশ্চিম এলাকায় বিস্তৃত থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তা কমতে শুরু করবে। অর্থাৎ চলতি শৈত্যপ্রবাহ আরো দুই দিন থাকতে পারে। তবে ২৫ বা ২৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। আর জানুয়ারিতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসার পূর্বাভাস রয়েছে।
রবিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, পাবনা, বদলগাছী, যশোর, কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
রবিবার (২০ ডিসেম্বর) রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
কয়েক দিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় শীতের প্রকোপ বেশি। শীতে কষ্ট বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তবু তীব্র শীত উপেক্ষা করেই খুব সকালে তাদের কাজের সন্ধানে বেরোতে হচ্ছে। রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, সরকারিভাবে গতকাল পর্যন্ত ২০ হাজার ৭০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম