১.
বকুল তলায় বকুল ফুল ঝরে পড়ে মাটির সবুজ –
তৃণছায়া তলে। ছোট মেয়েরা গাঁথে সুগন্ধিমালা ভোরের
শিশিরে বকুল ফুল কুঁড়ায়ে।
মাঠঘাট নদীতট ধানক্ষেত চৌচির, তাপদাহ
খরায়, চৈত্রের দুপুরে শিমুল তুলো উড়ে
বাতাসে আকাশ জুড়ে।
কাক চিল সাদা বক উড়ে যায়, ঝড়ো
হাওয়ায় নিজ নিজ আশ্রয় খুঁজে সুদূরে আকাশ
পথে, বিলের ধারে বনের ঝোপ ঝাড়ে।
সারাদিন গরু ছাগল ভেড়াগুলি
মাঠে চরে। ঝড়ের বাতাস প্রবল, আভাস পেলে
খোয়াড়ে, গোহালে ফিরে পালে পালে গোধূলি সন্ধ্যার
প্রাক্কালে।
সারাদিন হাসগুলি সাঁতার কাটে
ভিজে বেড়ায় পুকুরে বিলের জলে। বৈকালী
সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরে সবে দলে দলে
প্যাঁক প্যাঁক আওয়াজ তোলে।
বাবুই পাখিরা বাসা বাঁধে তালগাছে
নিপুন বুনুন কারুকাজে। বাবুইর
বাসাগুলো হেলে দোলে নিরাপদ
আশ্রয় খুঁজে থাকে; তালপাতা আড়ালে
ভিজে না কভু ঘূর্ণিঝড়ের কবলে।
২.
নদীজল শুকিয়ে যায় মাছগুলো মরে যায়
জীবনের আলো নিভে যায় কালের প্রবাহ
স্রোত ডুবে অনলে।
মানব জীবনের গতিও থেমে যায় বৃদ্ধকালে নিঃশ্বাসে
নিঃশ্বাসে বুক ভরে অশ্রু জলে।
কখনও স্রষ্টার ডাক এলে।
অন্তিম জীবনের বাসনাগুলো মিটেও সবে
কর্মের সাফল্যের চূড়ান্তে মহান সর্বশক্তিমান
দয়াময় প্রভুর অফুরান, দয়া অনুগ্রহ ও ক্ষমাবলে|
কখনও জীবনের যাত্ৰাপথে আনন্দ অশ্রু
ঝরে, ঐশ্বর্য্য সম্পদে রিযিক দৌলত
পার্থিবে, আকাঙ্ক্ষার বেশি পেলে।
বাংলাদেশের মাটির মায়ায় সদা
জীবনের শৈশব স্মৃতি-মনের দোলনায় দোলে
বাৎসল্য প্রেম সদা জাগরুক
স্নেহাদর মায়াজালে।