ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের সাময়িক বরখাস্তকৃত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজার নাজমুস সাদাতের করা মামলায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারী করেন।
তারা হলেন, কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের তৎকালীন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার কালীগঞ্জের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জগন্নাথ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে শৈলেন কুমার বিশ্বাস, হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের গনি বিশ্বাসের ছেলে সাময়িক বরখাস্তকৃত ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালাম ও কালীগঞ্জের কাশিপুর গ্রামের বারিক মন্ডলের ছেলে চাকরীচ্যুত অস্থায়ী মাঠ কর্মী আজির আলী।
গত ২৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আইনুল ইসলাম, বদর উদ্দীন ও মনোহরপুর গ্রামের ইন্তাজ আলী বাদী হয়ে কালীগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ঋন জালিয়াতির মামলা করেন। মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছেন।
ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তৃতীয় আদালতে গত ১৭ জানুয়ারি দায়েরকৃত মামলায় কালীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার নাজমুস সাদাত উল্লেখ করেন আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে ঋন গ্রহীতাদের টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা প্রায় দুই তিন’শ লোকের নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লোন উত্তোলন করেন। বিজ্ঞ আদালত ৪০৬, ৪০৮, ৪১৮, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৭ মার্চ ধার্য্য করা হয়েছে। আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার চিঠি ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌছালে গত ১২ ফেব্রয়ারি পুলিশ সুপার সাক্ষর করে আসামিদের নিজ নিজ থানায় পাঠিয়ে দেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, এখনো কালীগঞ্জ থানায় ওয়ারেন্ট আসেনি। ওয়ারেন্ট কপি হাতে পেলে অবশ্যই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা শনিবার জানান, তিনি এখনো ওয়ারেন্টের কপি পাননি। ওয়ারেন্ট অফিসারের সাথে কথা বলে জানাতে পারবো।
তবে পুলিশ সুপার ও কোর্ট পরিদর্শকের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের গনি বিশ্বাসের ছেলে সাময়িক বরখাস্তকৃত ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তারের জন্য ওয়ারেন্টের কপি গত ১২ ফেব্রুয়ারি থানায় পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ওয়ারেন্টের কপি পেলেও একই সঙ্গে পাঠানো হরিণাকুন্ডু থানা পাবে না কেন এমন প্রশ্ন তোলেন আদালতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
খুলনা গেজেট/ এস আই