আশংকাজনক হারে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়াতে কালীগঞ্জে মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির নির্দ্দেশনায় মঙ্গলবার বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী সভাতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ব্যাবসায়ী ও গনমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে সভাতে সিদ্ধান্ত হয়, সকল প্রকার ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান, হোটেল রেস্তোরা, গণপরিবহন বন্ধ ছাড়াও জরুরী প্রয়োজন ব্যাতিত জন চলাচলও বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্ষন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচা ব্যাতিত কোন সাপ্তাহিক হাট চালু রাখা যাবে না।
এছাড়াও লকডাউনে সরকারী নির্দ্দেশনাবলী পালনসহ সভাতে আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, শুধুমাত্র আইনশৃংখলা বাহিনী, জরুরী প্রয়োজনে পরিসেবা কৃষি উপকরণ পরিবহন ও বিপণন, স্বাস্থ্যসেবা, বিদুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট (সরকারী/বেসরকারী) গনমাধ্যমকর্মী, বেসরকারী নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ও ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরী অত্যাবশ্যকীয় সেবা নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে। তবে মাক্স পরিধান বাধ্যতামূলক হতে হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহার সভাপতিত্বে সভাতে বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) মতলেবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ আহসান হাবিব, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল ইসলাম মন্টু, রাজু আহম্মেদ, রনি লস্কর, আলী হোসেন অপু ও ইলিয়াস রহমান মিঠু, কালীগঞ্জ মটর মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, পৌর ব্যাবসায়ী সমিতির আহব্বায়ক মনিরুল ইসলাম, কাঁচাবাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সম্পাদক জিল্লুর রহমান সহ শহরের অন্যান্য ব্যাবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ।
সভাতে আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিধি নিয়ম মানতে প্রতিদিনই উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলবে। এবং বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি