সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে হুমকি, অপপ্রচার ও সহিংসতা বহির্ভূত নির্বাচনী প্রচারণাসহ শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান মুকুন্দমধুসুধনপুর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলীর ছেলে বিষ্ণুপুর ইউপি’র স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার বাবা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে দু’বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব পালনকালিন সময়ে ইউনিয়নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত ছিল। আগামি ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নিবার্চনী আচরণবিধি মেনে তিনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ রিয়াজউদ্দিনের কর্মীদের হাতে তার কর্মী সমর্থকরা প্রতিনিয়ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তার আনারস প্রতীকের পোষ্টার ছেঁড়া ও ব্যানার খুলে নেওয়াসহ তার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মীরা।
জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সহিংসতার উস্কানি প্রদান, নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতির পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাড়া করে ভোটের মাঠ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে তা রাতের আঁধারে বিলি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনাকর, বিভ্রান্তিমূলক ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট রিটার্ণিং অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন অফিসারসহ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। তাদের যথাযথ ভূমিকার কারণে আমি আজও নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তৃনমূল স্তরের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি বড় গণতান্ত্রিক প্লাটফর্ম। আগামি ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র, চাঁচাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, মুকুন্দ মধুসুধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বন্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও শ্রীধরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছি। এ সব জায়গায় তার নির্বাচনী এজেন্টদের হয়তো বা ঢুকতে দেওয়া হবে না, অথবা ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হবে এমনটি আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি জেলা নির্বাচন অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি সকল রকম হুমকি ধামকি ও সহিংসতা বন্ধ করে যাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় আগামী ২৮ নভেম্বর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সকলের অংশগ্রহণমূলক একটি শান্তিপূর্ণ ভোটযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্ণিং অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ ও জেলা নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম