সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের প্রহারে নবম শ্রেণীর ছাত্র রাজপ্রতাপ দাসের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চার শিক্ষককে দুই দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গত ১৯ জুলাই মামলার তদন্তককারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার ওসি মামুন রহমানের করা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত স্কুল শিক্ষকরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুহিত, সহকারি শিক্ষক অবকাশ কুমার খাঁ ও সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী।
প্রসঙ্গতঃ গত ১৬ জুলাই রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কালিগঞ্জের নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের তৃতীয় তলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটছিল তার ৫/৬ জন সহপাঠী। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলো বিদ্যলয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপ দাশ, মুশফিকুর রহমান, জোবায়ের ও আর রাফি। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অবকাশ চন্দ্র খাঁ ও মনিরুল ইসলাম বিষয়টি দেখতে পান। এ ঘটনায় রাজপ্রতাপ দাশসহ ৪ জনকে মারধর করেন শিক্ষক অবকাশ চন্দ্র খাঁ। পরে বাড়িতে যেয়ে অসুস্থ্যবোধ করায় তাকে হাসপাতালে পাঠানোর পথে মারা যায় রাজপ্রতাপ। এতে উত্তেজিত জনতা স্কুলে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। এঘটনায় নিহতের বাবা কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের হিজলা চন্ডিপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী দীনবন্ধু দাশ বাদি হয়ে ৫ শিক্ষকের নামে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৪ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
এদিকে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার ওসি মামুন রহমান গত ১৯ জুলাই আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। মঙ্গলবার রিামন্ড শুনানি শেষে বিচারক রাকিবুল ইসলাম আসামীদের দুইদিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদেও অনুমতি দেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ/এমএম