সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয়ে এক মিষ্টান্ন বিক্রেতার নিকট ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। ঘটনাটি প্রতারক চক্রের অপকৌশল সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
অপরদিকে ইউএনও পরিচয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবির বিষয়টি জানার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার পীরগাজন গ্রামের ইমাম আলী সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৮) এর কদমতলা বাজারে ‘নাফিজ মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামে একটি দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ০১৬১০৯০১৫৭৬ নং থেকে ইউএনও পরিচয়ে ফোন করে শফিকুলকে বলা হয়, বর্তমানে করোনাকালীন সময় মিষ্টির দোকানের উপর চাপ আছে, সে ক্ষেত্রে আমরা অপারেশনে আসলে আপনাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করবো। আপনি জরিমানা খেতে না চাইলে আমার এই নম্বরে ৪০ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন। এরপর ০১৬১০৪৭৩৩২০ নম্বর থেকে একাধিকবার ফোন দিয়ে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হয়। বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম কালিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে ইউএনও পরিচয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবির বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ‘ইউএনও কালিগঞ্জ ফেসবুক আইডি থেকে সতর্কবাণী প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নামে ০১৭৫৪৭৩৬৫৭১ ক্লোন করে বা অন্য কোন ফোন নম্বর থেকে কথা বলে হয়রানি করছে মর্মে শোনা গেছে। এ বিষয়ে কোন রকম আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কোন বিকাশ নম্বরে বা সরাসরি কোন ব্যাপারে কারো কথায় কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করবেন না। এসকল প্রতারককে কোন কোন জনপ্রতিনিধি ও গ্রামপুলিশ সহযোগিতা করছে বলে শোনা গেছে। তাদের অবগত করার জন্য জানাচ্ছি যে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কখনই মোবাইল করে বা অন্য কোন কথা বলে কোন দোকানদার বা অন্য কারো কাছে টাকা পয়সা দাবি করবে না।
দোকানদার বা অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার ব্যাপারে কোন জনপ্রতিনিধি বা গ্রামপুলিশ সহযোগিতা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিশেষ উল্লেখ্য যে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন বিকাশ নাম্বার নেই। প্রতারিত হওয়ার পূর্বে ০১৭৫৪৭৩৬৫৭১ নম্বরে ফিরতি কল করে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম