খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আষাঢ়, ১৪৩১ | ৬ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  জাতীয় দাবা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যু
  ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে চালক-হেলপার নিহত

কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউপিতে ভোট পুনর্গণনার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় ভোট গননায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন সদ্য সমাপ্ত কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জি এম রবিউল্যাহ বাহার। বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জ উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে আমি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচন শেষে ভোট গননার সময় এবং পরে অধিকাংশ কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারগণসহ কতিপয় কর্মকর্তারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গিয়ে সুকৌশলে ভয়ানক অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেন। নির্বাচনী এলাকার কৃষান মজদুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের এবং লাঙ্গল প্রতীকের ভোটের ব্যালটের বান্ডেলের পরিমান সমান থাকলেও পরবর্তীতে হঠাৎ করে লাঙ্গল প্রতীকের বান্ডেল বেশি এবং ঘোড়ার কম দেখা গেলে নিয়োগকৃত এজেন্ট বান্ডেল চেকিং করার অনুরোধ করলে প্রিজাইডিং অফিসার চেকিং করতে আপত্তি জানান। এসময় বার বার বলা স্বত্বেও তিনি ব্যালটের ব্যান্ডেল চেকের অনুমতি না দিয়ে দ্রুত বস্তাবন্দি করেন। ৮নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ রঘুনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমার এজেন্টকে একটি কক্ষে আটকে রেখে অন্য বুথে/ কক্ষে ভোট গণনা করে জোর পূর্বক ভোট গণনার বিবরণীতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। বিভিন্ন কৌশলে এজেন্টদের বের করে দিয়ে ২ ঘন্টা দেরিতে ফল প্রকাশ করে। রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় এজেন্টদের বের করে দিয়ে একটি রুমে ব্যলট বক্স রেখে প্রায় ১ ঘন্টা পর ভোট গণনা শুরু করে। এর প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি উল্টো প্রশাসনের কর্মকর্তারা এজেন্টদের কে বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগ করে ভোট গণনার বিবরণীতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে ১ ঘণ্টা দেরিতে ফলাফল প্রকাশ করেন।

এম রবিউল্যাহ বাহার অভিযোগ করে বলেন, নেংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গণনার বিবরণীতে কোন এজেন্টের স্বাক্ষর ছিলো না। এছাড়া উক্ত কেন্দ্রে ব্যলট পেপার কম ছিলো। যা আমার এজেন্ট পরীক্ষার করার অনুরোধ করলে প্রিজাইডিং অফিসার তা আমলে নেয়নি। বেনাদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী এজেন্টদের কাছ থেকে ভোট গণনার বিবরণীতে প্রিজাইডিং অফিসার জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এছাড়া এজেন্টকে ধমক দিয়ে বসিয়ে রেখে ঘোড়া প্রতীকের ব্যলট লাঙ্গল প্রতীকের ব্যলটের ব্যান্ডেলে ঢুকিয়ে ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রকাশ করেন। পশ্চিম কালিকাপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আনুমানিক ২০০ শত ব্যালেট পেপার তিন নং বুথ থেকে অফিস রুমে নিয়ে লাঙ্গল প্রতিকে সীল মেরে ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে ফলাফল তৈরি করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিটি কেন্দ্রের ব্যলটের বান্ডেলের নীচে এবং উপরে লাঙ্গল প্রতীকের ব্যলট এবং মাঝে ঘোড়া প্রতীকের ব্যালট ঢুকিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গভীর ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সুকৌশলে সহযোগিতা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে ২৮ নভেম্বর রাতে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জমা দিতে গেলেও তিনি গ্রহণ করেননি। তিনি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে ভোটের ব্যলট পুনরায় গণনার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!