কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
এর আগে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ১০ই অক্টোবর গভীর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন দেন আদালত।
২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস ধরে কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল। আর ২ নভেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এই দুই নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। আসামিদের অসুস্থতা, বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনের প্রার্থনা করেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর এবং এর পরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর আগে ১০টিতে তিনি জামিন পান। অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর আগে তিনি ৯টি মামলায় জামিন পান। দলের দুই শীর্ষ নেতাই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পেয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ