বাগেরহাট জেলা কারাগারে মনির হোসেন নামের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই কারারক্ষীর বিরুদ্ধে। রবিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই বন্দীকে মারধর করেন হাবিলদার ফিরোজ ও কারারক্ষী চয়ন। মারধরের বিষয়টি জানার পরে ওইদিনই কারা অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করেন বন্দিরা। এর জেরে সোমবারও (২৬ জানুয়ারি) বিক্ষোভ করেন কারাবন্দিরা। পরে কর্মকর্তারা বুঝিয়ে তাদেরকে স্বাভাবিক করেন। এরআগেও বিভিন্ন সময় জেল খানায় বন্দীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে কারাগার সূত্রে জানা গেছে।
মারধরের শিকার মনির ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দা। একটি মাদক মামলায় চার মাসের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে আসেন। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা ছাড়াও কয়েকটি মামলা রয়েছে।
কারাসূত্রে জানা যায়, মনিরসহ কয়েকজন কারা অভ্যন্তরে মেডিকেল সেন্টারের সামনে জটলা করছিল। তখন কারারক্ষী চয়ন মনিরকে সরে যেতে বলে। তখন মনির চয়নকে ধাক্কা দেয়। এতে উত্তেজিত হয়ে চয়ন ও ফিরোজ মনিরকে মারধর করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে বিক্ষোভ করেন কারাবন্দিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কারারক্ষি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তারা।
বাগেরহাটের জেল সুপার শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, মাঝে মাঝে কারা অভ্যন্তরে বন্দিরা কিছু জটিলতা সৃষ্টি করে। তবে গতকাল ও আজকে কারাগারে কোন ঘটনা ঘটেনি। কোন বন্দিকে কেউ মারধর করেনি।
তবে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এর আগে কারাগারে গেল ৮ ডিসেম্বর কারাগারের নিয়ম ভঙ্গ করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দিকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বাবার মৃত্যুর যজ্ঞানুষ্ঠান করার সুযোগ দেয় জেল সুপার। বিষয়টি জানাজানি হলে কারাবন্দিদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।তখনও বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন জেল সুপার শঙ্কর কুমার মজুমদার।
খুলনা গেজেট/ টিএ