কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতি বোমা হামলা হয়েছে। বিমানবন্দরের অ্যাবি গেট যেখানে মার্কিন এবং ব্রিটিশ সৈন্যরা অবস্থান নিয়ে হাজার হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল তার ঠিক বাইরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, বিস্ফোরণের পর হতাহতের সংখ্যাটি পরিষ্কার নয়।
তালেবান দাবি করছে, বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে বলে তালেবানের একজন কর্মকর্তা বলছেন।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, আত্মঘাতি বিস্ফোরণ হয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে। সেই সঙ্গে বিমানবন্দর চত্বরে এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু-সহ এখনও পর্যন্ত ১৩ মৃত্যু খবর সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জুড়ে। আহত হয়েছেন তিন আমেরিকান সেনা ও বেশ কয়েক জন তালিবান সেনা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর বিমানবন্দরে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।
৩১ আগস্টের আগে বিমানবন্দরে চলছে বিভিন্ন দলের উদ্ধারকারী দলের তৎপরতা। সূত্রের খবর, ইতালির উদ্ধারকারী বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বিস্ফোরণে কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি টুইটে জানিয়েছেন বিস্ফোরণের কথা। তবে হতাহতের খবর তিনি দিতে পারেননি।
শুধু কাবুল বিমানবন্দরই নয়, শহরের কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক’দিন আগেই বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আইএস। বিস্ফোরণের পিছনে তাদেরই হাত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাবুল বিমানবন্দর সন্ত্রাসী হামলার ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছিল বুধবার।
এই সতর্কবার্তার মধ্যেই ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস হিপি বৃহস্পতিবার বিবিসি রেডিও ফোরকে বলেন, কাবুল বিমানবন্দরে মারাত্মক হামলার চেষ্টা হতে পারে বলে ‘খুবই বিশ্বাসযোগ্য‘ খবর আছে তাঁর কাছে। তিনি বলেছিলেন, সম্ভবত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেরকম কিছু ঘটতে পারে।