খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৬৬

আন্তর্জা‌তিক ডেস্ক

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের খলিফা সাহিব মসজিদে শুক্রবারের বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৬৬ জনে এবং আহতের হালনাগাদ সংখ্যা ৭৮ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে বলে শনিবার এক প্রতিবেদেনে জানিয়েছে রয়টার্স।

মসজিদটির ইমাম সৈয়দ ফাজল আগাও নিশ্চিত করেছেন বোমা হামলায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিহতের তথ্য। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, হামলাটি ছিল আত্মঘাতী।

রমজান মাসের শেষ শুক্রবার উপলক্ষে শুক্রবার জুমার নামাজের পর জিকির চলছিল রাজধানী কাবুলের দক্ষিণাংশে অবস্থিত খলিফা সাহিব মসজিদে। এ সময় দুপুর ২ টার দিকে আকস্মিকভাবে মসজিদের ভেতরে শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।

সৈয়দ ফাজল আগা বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, হামলাটি ছিল আত্মঘাতী এবং হামলাকারী সাধারণ মুসলিমের বেশে জুমার নামাজের সময় থেকেই মসজিদে উপস্থিত ছিল। নামাজ শেষে জিকির অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর সে নিজের দেহে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।’

তিনি আরও জানান, সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও বোমার আঘাতে তার ভাতিজা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

‘(বিস্ফোণের পর) কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারদিক, সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মৃতদেহ। আমি নিজে বেঁচে গেছি, কিন্তু হারিয়েছি আমার সন্তানসম ভাতিজাকে।’

হামলার সময় মসজিদে উপস্থিত এক ব্যক্তির জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তেজে মসজিদের ছাদ ও দেওয়ালের কিছু অংশ উড়ে গেছে। তার নিজের হাত ও পা পুড়ে গেছে বলেও জানার ওই ব্যক্তি।

খলিফা সাহিব মসজিদটির নিকটবর্তী একটি ভবনের বাসিন্দা মোহাম্মদ সাবির জানান, বিস্ফোরণের পর বেশ মসজিদের ভেতর থেকে বেশ কয়েকজন আহত মানুষকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছেন তিনি।

রয়টার্সকে সাবির বলেন, ‘প্রচণ্ড শব্দ হয়েছিল বিস্ফোরণের সময়। আমি আশঙ্কা করছিলাম, আমার কানের পর্দা ফেটে গেছে।’

খলিফা সাহিব মসজিদে হামলার দায় এখনও কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বীকার করেনি, তবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) এই হামলার জন্য দায়ী।

গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানের অঞ্চলে কয়েক দফা বোমা হামলা হয়েছে। এসব হামলায় শতাধিক বেসামরিক আফগান নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও বহু। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব হামলা ঘটেছে আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের মসজিদে।

তবে হামলাকারীদের কবল থেকে দেশটির সংখ্যাগুরু সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকজনও যে মুক্ত নন, তার সর্বশেষ উদাহারণ কাবুলের খলিফা সাহিব মসজিদ। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি সুন্নি মসজিদে বোমা হামলা হয়েছিল, তাতে নিহত হয়েছিলেন ৩৩ জন।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের অন্যতম মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে হামলাকারীকে শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনা হবে।

হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘও। জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিথি মেট নুডডেন এক বার্তায় বলেন, ‘ঘৃণ্য এই ঘটনার নিন্দা জানানোর জন্য কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়।’




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!