সেমিফাইনাল ম্যাচ মানেই দুই দলের লড়াই। তবে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচে সেটি দেখা যায়নি। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা একক আধিপত্য বিস্তার করে ২-০ গোলের জয়ে নিশ্চিত করে ফাইনাল। আর্জেন্টিনার পক্ষে সেমিফাইনালে গোলের দেখা পান মেসি এবং আলভারেজ। আর এক ম্যাচ জিতলেই বিশ্বকাপের পর আরও এক শিরোপা নিজেদের করে নেবে মেসিরা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এদিন সেমিফাইনাল খেলতে নামা কানাডা পুরো ৯০ মিনিট খেলে কেবল দুইটি শট টার্গেটে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কানাডার রক্ষণভাগের ফুটবলারদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয় মেসি-আলভারেজদের সামাল দিতেই।
খেলায় অবশেষে গোলের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। সেমিফাইনাল পর্যন্ত অপেক্ষা শেষে গোল এলো আর্জেন্টাইন নাম্বার টেনের পা থেকে। কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে এঞ্জো ফার্নান্দেজের গোলমুখে শটে পা ছুঁইয়ে নিজের প্রথম গোল আদায় করে নেন মেসি। গোলের পর খানিকটা বিতর্ক হয়েছিল অফসাইড প্রসঙ্গে। জটলার মাঝে পা ছোঁয়ানোর সময় মেসি অফসাইড ছিলেন কিনা তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। তবে গোল ঠিকই দেয়া হয় তার নামে।
এই গোলের মাধ্যমে ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন কোপা আমেরিকার আসরে গোলের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন লিটল ম্যাজিশিয়ান। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় এটি তার ১৪তম গোল।
এদিন অবশ্য শুরু থেকেই মেসিকে দেখা গিয়েছে অন্যরকম ছন্দে। মাঝমাঠের ডানপাশে ডি মারিয়ার উপস্থিতিতে মেসি ছিলেন আরও বেশি স্বপ্রতিভ। প্রথমার্ধেই অন্তত দুবার গোলের খুব কাছ থেকেই ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। একবার গোলপোস্টের ডানে, অন্যবার গোলবারের বামপাশ ঘেঁষে বেরিয়ে যায় তার শট।
এর আগে ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগো ডি পলের লং পাস ধরে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে জালে বল জড়ান আর্জেন্টাইন নাম্বার নাইন হুলিয়ান আলভারেজ। বিরতির আগ পর্যন্ত এটিই ছিল আলবিসেলেস্তেদের একমাত্র অন-টার্গেট শট।