খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চার উপদেষ্টার আশ্বাসে ভোর ৪টায় হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

কাদের মির্জা সত্য কথা বলেছেন : জয়নাল হাজারী

গেজেট ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদরের ছোট ভাই ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দেওয়া বক্তব্যে দেশজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা। আবদুল কাদের মির্জা যা বলেছেন, তা সত্য বলে দাবি করেছেন ফেনীর আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য জয়নাল হাজারী। গতকাল বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক লাইভে এ দাবি করেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে জয়নাল হাজারী বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জা সত্য কথা বলেছে। কিন্তু ওবায়দুল কাদের সাহেব যে কারণেই হোক ত্রাণ কমিটির মিটিংয়ে বলেছেন, ‘দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, তার শাস্তি হবে’। মির্জা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেনি, আপনাকে (ওবায়দুল কাদের) বা প্রধানমন্ত্রীকেও খারাপ বলেনি। সে দলের ভেতরে থাকা দুর্নীতিবাজদের বিচার চেয়েছে। এই দুর্নীতিবাজরা আপনার ও নেত্রীর সুনাম নষ্ট করছে। পাপিয়াতো দলের নেত্রী ছিল, সম্রাট, আরমানসহ অনেকেই অপরাধ করে আজ কারাগারে।’

হাজারী বলেন, ‘মির্জা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে এখনও বাক স্বাধীনতা রয়েছে, আছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। আমার বিশ্বাস মির্জার বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশর রাজনীতি দৃশ্য পরিবর্তন হয়ে গেছে।’

এ সময় জয়নাল হাজারী আব্দুল কাদের মির্জাকে বীরপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি তাকে পরামর্শ দেন যে সকল সাংবাদিকদের সমালোচনা না করতে। কারণ সকল সাংবাদিক চাঁদা নেন না, তাদের জীবনেরও ঝুঁকি রয়েছে। ফেনীর সাবেক ডিসি সোলায়মানেরও প্রশংসা করেন হাজারী।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা গত ৩১ ডিসেম্বর বসুরহাট পৌরভবন চত্বরে নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহার ঘোষণাকালে আবদুল কাদের মির্জা বলেন–‘বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিছু কিছু চামচা নেতা আছেন, যারা বলেন অমুক নেতা, তমুক নেতার নেতৃত্বে বিএনপির দুর্গ ভেঙেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বৃহত্তর নোয়াখালীতে তিন-চারটি আসন ছাড়া বাকি আসনে আমাদের এমপিরা দরজা খুঁজে পাবে না পালানোর জন্য। এটিই হলো সত্য কথা। সত্য কথা বলতে হবে। আমি সাহস করে সত্য কথা বলছি।’

কারও নাম উল্লেখ না করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেন, তারা হচ্ছেন নেতা। টেন্ডারবাজি করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট যারা করেন, তারা হচ্ছেন নেতা। পুলিশের, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দিয়ে যারা পাঁচ লাখ টাকা নেন, তারা হচ্ছেন নেতা। গরীব পিয়নের চাকরি দিয়ে তিন লাখ টাকা যারা নেন, তারা হচ্ছেন নেতা।’

খুলনা গেজেট/এ হোসেন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!