ইসরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ধৃত ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক আট অফিসারকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ কাতারের আদালতের। ধৃত আট প্রাক্তন অফিসারের জামিনের আবেদন একাধিকবার খারিজ করে দিয়েছে কাতারের আদালয়। দফায় দফায় তাদের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। শেষে বৃহস্পতিবার আটজনকেই মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ কাতারের আদালতের। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই নির্দেশ জানার পর হতবাক দিল্লি।
আদালতের নির্দেশের পরই ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশে আমরা হতবাক। রায়ের সম্পূর্ণ প্রতিলিপির জন্য অপেক্ষা করছি। ধৃতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি আইনজীবীদের সাথেও কথাবার্তা চলছে। সবদিক খতিয়ে দেখছি আমরা।’ যে আট জন সাবেক নৌবাহিনী অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, তারা হলেন, ক্যাপ্টেন নভ্যোতেজ সিংহ গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কম্যান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। এদের মধ্যে অনেকে যুদ্ধজাহাজেও একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গত বছর ৩০ অগাস্ট কাতারের গুপ্তচর সংস্থা স্টেট সিকিওরিটি ব্যুরো আটজনকে গ্রেফতার করে। ওইসময় একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতেন তারা। কাতারের সশস্ত্রবাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তারা। কাতারের তরফে সরকারিভাবে গ্রেফতারি নিয়ে কিছু জানানো না হলেও, সূত্রের খবর, ওই আট সাবেক ভারতীয় নৌবাহিনী অফিসারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। কাতারের উন্নত সাবমেরিনগুলোর বিষয়ে তারা ইসরাইলকে তথ্য পাচার করেন বলে অভিযোগ। অত্যাধুনিক ওই সাবমেরিনগুলো এমন এক মেটেরিয়াল দিয়ে ঢাকা থাকে, যার কারণে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয় যুদ্ধের সময়ে।
২০২২-এর ৩০ অগস্ট রাতে ওই আটজনকে গ্রেফতার করে কাতার পুলিস। সেপ্টেম্বর মাসে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তারপরই ওই আট অফিসারকে আইনি সাহায্য দিতে এগিয়ে আসে ভারত সরকার। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কাতারে গিয়ে ওই ৮ জনের সঙ্গে দেখা করা হয়। পাশাপাশি ওই অফিসারের পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত কাতার যাতায়াতের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে দূতাবাস। সূত্র : জি নিউজ।
খুলনা গেজেট/এনএম