বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবলে কাতারের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের ম্যাচের ৬৮ ভাগ সময় বল ছিলো কাতারের পায়ে। বাংলাদেশের গোলবারে মোট শট নিয়েছে ১৬টি। তার মধ্যে অন-টার্গেট ৭টি। পুরো ম্যাচে কাতারের আক্রমণ সামল;আনো ছাড়া জামালদের যেনো আর কিছু করার ছিল না। প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ২-০ গোলে।
শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে বিপর্যস্ত করে কাতার। শুরুর দুই মিনিটের সময় আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা, পরের মিনিটে একটি শট ফিরে আসে গোলবারে লেগে। তবে শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি। ৯ মিনিটে হাতিমের গোলে এগিয়ে যায় কাতার। জামাল-সুফিলরা ঠিক মতো বলেরই দেখা পাচ্ছেন না। পেলেও রাখতে পারছেন না নিয়ন্ত্রণে। তপু-বিশ্বনাথরা ব্যস্ত কাতারের আক্রমণ সামলাতে।
প্রতি মিনিটে-মিনিটে যেনো আক্রমণ করছে কাতার। বা দিক বেশি ভোগাচ্ছেন আকরাম আফিফ। বল নিয়ে হুট করে ঢুকে যান বাংলাদেশের ডি-বক্সে। তাকে আটকাতেই ব্যস্ত ছিলেন তপু-বিশ্বনাথরা। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগও মিস করে স্বাগতিকরা।
৩৩ মিনিটে আকরাম আফিফের। শুরু থেকে যেভাবে খেলছেন তার একটি গোল প্রাপ্য ছিল। ডি বএক্সের মাথা কোনাকুনি শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান। জিকোর তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
বিরতির পর আরো একটি গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে কাতারকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন আলমোয়েজ আলী।
৭৮ মিনিটে আলমোয়েজ আলী তার দ্বিতীয় গোলটি করেন। তাতে কাতার এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। অবশ্য এই গোল করতে গিয়ে পোস্টের সঙ্গে উরুতে ধাক্কা খান আলী। এরপর তিনি মাঠের বাইরে চলে যান আহত হয়ে।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+২) আরো একটি গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। এবারের গোলদাতা আকরাম আফিফ। এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল। আফিফ ও আলমোয়েজ আলীর জোড়া গোলে বাংলাদেশ হার মানলো ৫-০ গোলে।
খুলনা গেজেট/এএমআর