৯২ বছরের ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে লজ্জার রেকর্ডের শিকার হলো কাতার। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নেমে টানা তিন হারে সবার আগে বিশ্বমঞ্চ থেকেই ছিটকে গেল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। কাতারের হ্যাটট্রিক হারের দিনে সহজ জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ডস।
আল বায়াত স্টেডিয়ামে ডাচরা স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছে। এদিন ব্যবধান ৩-০ গোলের হতে পারত। তবে অফসাইড নয় এবার হ্যান্ডবলের ফাঁদে পড়ে বাতিল হলো গোল।
আল বায়াত স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কাতার এদিন প্রথমার্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে কেবল সময় কাটানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে দারুণ খেলেছে লুইস ফন গালের শিষ্যরা। এরমধ্যে প্রথমার্ধে কোডি গাকফের গোলে ১-০ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল অরেঞ্জ আর্মিরা।
তৃতীয় ডাচ প্লেয়ার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই এই মিডফিল্ডার নেদারল্যান্ডসের হয়ে প্রথমে গোল পেয়েছেন। এর আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে ডাচদের পক্ষে এমন কীর্তি গড়েছেন ১৯৭৪ সালে ইয়োহান নেসকেন্স, ১৯৯৪ সালে ডেনিস বার্গক্যাম্প এবং ২০১০ সালে ওয়েসলি স্নাইডার।
প্রথমার্ধে লিডে থাকা ডাচরা দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে অরেঞ্জ আর্মিদের পক্ষে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। ডেভি ক্লাসেনের দারুণ এক ক্রস ফাঁকায় পেয়ে গোলমুখে শট করেন মেম্পিস ডেপাই। তবে কাতারের গোলরক্ষক বারশাম দারুণ এক সেইভ দেন। কিন্তু ফলো থ্রুতে বল পেয়ে সহজ গোল করেন ডি ইয়ং।
ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে আরেকটি সহজ গোলের দেখা পান গাকপো। তবে এই গোলটি বাতিল করতে রেফারির কাছে হ্যান্ডবলের আবেদন তোলেন কাতারের ফুটবলাররা। ভিএআরে রেফারি দেখেন গোল দেওয়ার আগে মাঝমাঠে ডাচ এক প্লেয়ারের হাতে বল লাগে। ফলে বাতিল হয় সেই গোলটি। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো দলই গোল পায়নি।
এদিকে এই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরবর্তী রাউন্ডে জায়গা করে নিলো লুইস ফন গালের নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে তিন ম্যাচ খেলেও শূন্য পয়েন্টের খালি হাতে ফিরল কাতারিয়ানরা।