মাছ খাওয়া সহজ করতে কাঁটা সরানোর পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় বাসভবন গণভবন থেকে রোববার ভার্চুয়ালি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধনকালে তিনি বিষয়টি সামনে আনেন।
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গণভবন লেকে পোনা অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে যুবসমাজকে মাছ চাষে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি, সেখানে যুবসমাজ এগিয়ে আসতে পারে। মৎস্য চাষে যুবসমাজ এগিয়ে আসলে নিজেরাও লাভবান হবে, পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।’
বক্তব্যে মাছ থেকে কাঁটা বাছাইয়ের পদ্ধতি ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর জোর দেন সরকারপ্রধান। যারা কাঁটাযুক্ত মাছ খেতে চান না, তাদের জন্য একটি উপায়ও বাতলে দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাছের কাঁটা একটা সমস্যা। প্রক্রিয়াজাত করলে কিন্তু কাঁটাও নরম করে ফেলা যায় এবং খাওয়া যায়। সেটা খুব বেশি কঠিন না। এমনকি ঘরে বসেও করতে পারেন। আপনারা যদি প্রেশার কুকারে এক ঘণ্টা সেদ্ধ করেন, মাছের কাঁটা নরম হয়ে যায়।
‘মাছ মাছের মতোই থাকবে, কিন্তু কাঁটা নরম হয়ে যাবে। সেটা বাচ্চাদেরও খাওয়াতে পারবেন। এতে কোনো অসুবিধা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘মাছের কাঁটা এভাবে নরম করতে পারলে আর কাঁটার সমস্যা থাকে না। ইলিশ মাছ একটু বেশি সময় লাগে। কারণ সমুদ্রের মাছ। অন্যান্য মাছ আরও কম সময়ে হয়ে যায়। এটা হলো ঘরে।
‘আমরা যদি এ ধরনের ইন্ডাস্ট্রি করতে পারি, প্রেশার দিয়ে মাছের কাঁটাগুলি নরম করতে পারি, যেন মাছ যেমন আছে তেমন থাকবে দেখতে। সেভাবে যদি আমরা স্ট্রিমজাত করতে পারি, প্রক্রিয়াজাত করতে পারি এবং দেশে-বিদেশে রপ্তানি করতে পারি, পৃথিবীর বহু দেশ এই মাছ নেবে অথবা মাছের তৈরি বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করতে পারব।’
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তার ভাষ্য, ‘মাছের উৎপাদন বাড়াতে পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। পানিটা যেন কোনো রকম দূষণ না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। ২০১৬-১৭ সালে আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হই। এখন চাহিদার চাইতে অনেক বেশি মৎস্য উৎপাদন করতে পারি।
‘আমাদের প্রবাসীরা আছে। যে যেখানেই থাকুক, নিজের দেশের মাছ একটু খেতে চায়। আমরা তাদের সুযোগ করে দিতে পারি। ইতোমধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ পাস করেছি। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
খুলনা গেজেট/ এস আই