রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ভবনের নিচতলার চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের ২ মালিক ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আটকরা হলেন, চায়ের চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
পুলিশের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, নিচতলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা চা-কফির ছোট রেস্টুরেন্ট। ছোট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজও সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবন মালিক থেকে শুরু করে আগুনের ঘটনায় যাদের দায় পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকালের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুনে ২০ জন পুরুষ ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বাকী ছয় জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।