আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার যোগ্য ১০ জন নেতা রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সভাপতি আমাদের অপরিহার্য। আমাদের যিনি সভাপতি আছেন, তিনি আমাদের ঐক্যের প্রতীক। তিনি এখানে অপরিহার্য। কাউন্সিলরদের মধ্যে একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে তাকে সমর্থন করবে না। কাজেই এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে অনেকেরই ইচ্ছা থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ একটা গণতান্ত্রিক দল। আমার জানা মতে অন্তত ১০ জন আছেন যারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কাজেই কে হবেন সাধারণ সম্পাদক তা নেত্রীর ইচ্ছা এবং কাউন্সিলরদের মতামতের ওপর নির্ভর করছে। সবকিছুর প্রতিফলন হবে দ্বিতীয় অধিবেশনে।
(কাউন্সিলের দিন) দুপুর ৩টার পর যে অধিবেশন বসবে সেখানে কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে এই সিদ্ধান্ত হবে। কাজেই আমি এই মুহূর্তে কারো নাম বলতে পারছি না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ দুপুরে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুনেন, এই মুহূর্তে আমি কোনো প্রেডিকশনে যেতে চাই না। এই সময়ে আমি এটা করতে পারি না। তাহলে কাউন্সিলরদের চিন্তাভাবনাকে অবমাননা করা হবে। কাউন্সিলররাই হায়েস্ট ফোরাম, তারাই নেতা নির্বাচনে মূল শক্তি। কাজেই এ নিয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না।
এবারের কমিটিতে নতুন মুখ থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলে দিয়েছি, এবারের সম্মেলনে যে কমিটি হবে, এখানে তেমন একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আমরা পরবর্তী সম্মেলন (জাতীয়) নির্বাচনের পর আগামও করতে পারি। সেরকম চিন্তাও আছে। তখন একটা মেজর রিশাফল হয়তো হবে। কিন্তু আপাতত আমরা বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না। তবে কাউন্সিলরদের অভিমতের সবকিছু নির্ভর করবে।
আগামী সরকার পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রন্তুত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা একটা সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই। আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। আগামী সরকার পরিচালনার জন্য আমরা প্রস্তুত।’