বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা। এজন্য ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের মূলোৎপটন করতে হবে। যেন তারা নতুন করে কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে না পারে। প্রতিবেশী দেশ অন্যায়ভাবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যা তারা পারে না। যার মাধ্যমে হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, ছাত্র জনতা খুন হয়েছে, অনেককে গুম করেছে আর তাকেই আশ্রয় দিয়েছে ভারত।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংককুয়েট হলে বিভাগের সকল জেলা ও মহানগরের সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
দলীয় সাংগঠনিক বিষয়ে তিনি বলেন, অতীত ভুলে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। তৃণমূল থেকে দলকে আবারো ঢেলে সাজাতে হবে। প্রতিটি থানা, পৌরসভা, জেলা ও মহানগরে কমিটি করার ক্ষেত্রে কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকলকে সঙ্গে নিয়েই কমিটি করতে হবে। একাংশ বাদ দিলাম আর একাংশ দিয়ে করে ফেললাম সেটা হবে না। প্রয়োজন বোধে প্রতিটি পর্যায়ের কমিটি গঠনের সময় আমাদের নেতৃবৃন্দ যাবেন। অথ্যাৎ কোথাও গোজামিল দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এটা চিন্তা করে এই মিটিং থেকে যেতে হবে। ফিরে যেয়ে খুলনা বিভাগে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। কেননা খুলনা বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক একটা ঐতিহ্য আছে। তিনি আরো বলেন, অতীত ভুলে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। তৃণমূল থেকে দলকে আবারো ঢেলে সাজাতে হবে। ঐক্যের বাইরে আমাদের যাওয়ার ক্ষমতা নেই। দলের একাংশকেও বাদ দেওয়া যাবে না। সকলকে নিয়ে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে।
বিএনপি নেতার আমান উল্লাহ আমান আরো বলেন, আমাদের ধৈর্য্য ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও কাজ করতে হবে। সকলকে এক থাকতে হবে। প্রতিটি থানা, পৌরসভা, জেলা ও মহানগরে কমিটি করার ক্ষেত্রে কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকলকে সঙ্গে নিয়েই কমিটি করতে হবে। একাংশ বাদ দিলাম আর একাংশ দিয়ে করে ফেললাম সেটা হবে না। ঐক্য, ঐক্য ও ঐক্যের বিকল্প নেই।
খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আনিদ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি নেতা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, এম ওবায়দুল ইসলাম, অমলেন্দু দাস অপু, কে এম আমিরুজ্জামান খান শিমুল, অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, আমির এজাজ খান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, রবিউল ইসলাম রবি, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভায় বিভাগের ১০ জেলার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় অন্যন্য নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত প্রায় ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার শুধু মাত্র অন্য রাজনৈতিক দলের ওপর শোষণ নির্যাতন চালাইনি, শোষণ নির্যাতন চালিয়েছে এদেশের মানুষের ওপর। মানুষকে ঠকিয়ে তারা ধনী হয়েছে। জমি দখল বাড়ি দখল থেকে শুরু করে কোন কিছু বাদ যায়নি। এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাই এখন সময় এসেছে এর সঠিক জবাব দেওয়ার। এজন্য সকলে এক হতে হবে। এদেশে আওয়ামী লীগ সরকার আর যেন না আসতে পারে সেদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।