বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের (বিপিসি) মিরপুরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে বিকাল ৪টায় বাকশিস সভাপতি অধ্যক্ষ ইসহাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাকশিস ও বিপিসি-এর সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান।
সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা করেন অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ ইউসুফ সুমন, অধ্যাপক ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন মন্ডল, অধ্যাপক হোসেন জাহান, অধ্যক্ষ রেজাউল হক, অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র জনতার সফল বিপ্লবের মাধ্যমে ৫ আগস্ট স্বৈরশাসনের পতনের পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান হয়েছে। তবে নবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ও সমাজ সংস্কারক ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট বাংলাদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা। ভেঙ্গেপড়া আইন-শৃংখলা, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, সরকার প্রভাবিত পক্ষপাতমূলক বিচার ব্যবস্থা, দলীয়করণের প্রশাসন, দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি, ভোটাধিকার বিহীন নির্বাচন, ধ্বংসের দারপ্রান্তে উপনীতি হওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা, বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম, কন্ঠরোধকারী গণমাধ্যম, আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্য, সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চাঁদাবাজির বিষবাষ্পে নিমজ্জিত দেশ ও জাতিকে সুশাসনের মাধ্যমে চরম বিপর্যস্ত অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে নতুন এক গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায় ভিত্তিক জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার মধ্যে প্রকৃত শহীদ ও আহত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করার অনুরোধ জানানো হয়। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা শিক্ষকসমাজ সুশাসনের লক্ষ্যে গঠিত এই সরকারকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদান করব।
সভায় শুরুতেই ছাত্র জনতার এই আন্দোলনে যাঁদের আত্মত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে স্বৈরতন্ত্রের অবসান হয়েছে সেই সব জাতীয় বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। – খবর বিজ্ঞপ্তির