সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক এর বিরুদ্ধে উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পেয়েছেন কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত পরিচালক। গত ১২ডিসেম্বর-২২ তারিখে ১২.১৭.০১০০.০৩৯.২৭.০৫৬.২২.১১৪২ নং স্মারক মোতাবেক ৩সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম সরেজমিনে কলারোয়ায় দিনভর প্রকাশ্যে তদন্ত করেন। সেখানে উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন। পরে তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে ১৫ডিসেম্বর-২২তারিখে কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কিছু কিছু বিষয়ের প্রমাণ পেয়েছে মর্মে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এই অভিযোগ পেয়ে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদুল ইসলাম গেল বছরের ২জানুয়ারি কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক এর বিরুদ্ধে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক ঢাকা, উপ-পরিচালক খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ডিএই জেলা প্রশিক্ষণ উপ-পরিচালকের কার্যালয় বাগেরহাট, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) উপ-পরিচালকের কার্যালয় ডিইএ খুলনা, উপজেলা কৃষি অফিসার সাতক্ষীরা সদর, উপজেলা কৃষি অফিসার কলারোয়ায় অবগতি ও প্রয়োজনীয় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১.২.১৬.৪৭০০.০৩৯.১৮.০১৭.২২.০৭.১(৬) নং স্মারকে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। এর পরেও অভিযুক্ত কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বহাল তবিয়তে কাজ করে আসছেন। উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা জিয়াউল হককে শাস্তিমূলক অন্যত্র বদলির দাবি জানিয়েছেন। কলারোয়া উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক বিক্রেতারা সরকারি বরাদ্ধকৃত রাসায়নিক সার যথাসময়ে উত্তোলন ও সার বিতরণের নীতিমালা অনুসরণ করে আসেছেন। তারা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার চাষীদের মধ্যে বণ্ঠন করছেন। কিন্তু ১জানুয়ারি ২০২২ তরিখে কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা পদে জিয়াউল হক যোগদান করে তিনি উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের ভয় ভীতি প্রদান করে আসছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের ঘরে গিয়ে ম্যাজেস্ট্রিসী আচরণসহ তাঁকে স্যার বলে সম্মোধন করতে বাধ্য এবং অশালীন আচরণ করেন। তিনি কৃষি অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই বিসিআইসি সার ডিলারদের দোকানে যেয়ে পাকা দোকান ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় সার্বিক বিষয়ে তাকে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দেন।
ওই অভিযোগে আরো বলা হয়, কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে ৩ হাজার ৩০০টাকা, আব্দুল্লাহর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, আজাহারুল ইসলামের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০টাকা ও আব্দুর রশিদ এর কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি