সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলার সাক্ষী দিলেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
বুধবার (২৯ জুন) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল আদালতের কাঠগোড়ায় উপস্থিত ৪০ জন আসামির উপস্থিতিতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ১৪ জুলাই পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৪০ জন আসামিকে বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর আদালতের কাঠগোড়ায় হাজির করা হয়। এ মামলায় নয় জন আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করানো হয়। তবে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের সাক্ষী গ্রহণের পর রাষ্ট্রপক্ষ পরবর্তী সাক্ষীর জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক আগামি ১৪ জুলাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমানর পিন্টু ও অ্যাড. শাহানারা পারভিন বকুল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল অ্যাড.এসএম মুনীর, সহকারি এটর্ণি জেনারেল অ্যাড. মোঃ শাহীন মৃধা, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যসোসিয়েশনের সহসভাপতি অ্যাড. মোহম্মদ হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: বিগত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের সময় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী এবং সন্ত্রাসীরা হামলা ভাংচুর মারপিট বোমা বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীসহ দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এঘটনার এক যুগ পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা হয়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল অ্যাড. এসএম মনীর বলেন, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট কলারোয়ায় তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার একটি অংশে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক বিএনপি সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের চার থেকে ১০ বছরে মেয়াদে সাজা হয়। এ মামলার অপর দুইটি অংশে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় বুধবার ফিরাজ আহম্মেদ স্বপন সাক্ষী দিয়েছেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামি ১৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালত চাইলে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি তিন মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই