সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভুল অপারেশনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় নারী ক্ষতিপুরুণ ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলা সরকারী হাসপাতল রোডস্থ হাফিজা ক্লিনিকে দালালের খপ্পরে পড়ে ভর্তি হন উপজেলা পৌর সদরের ঝিকরা গ্রামের বৈদ্য গোলদারের মেয়ে গর্ভবতী সোমা রাণী (২৩)। সেখানকার ক্লিনিক ম্যানেজার রনজিৎ পাল ও ডাঃ দিনেশ কুমার বলেন-আপনার মেয়ের যে অবস্থা সিজারিয়ান করতে হবে। তাদের কথায় মেয়েকে ২৪জুলাই-২২তারিখে ভর্তি করা হয় ওই হাফিজা ক্লিনিকে। সেখানে ১২হাজার টাকা নেয় সিজারিয়ান করতে এবং ওষুধ কিনতে
লাগে আরো ১০হাজার টাকা। ২৯জুলাই সোমা রাণীকে ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে এসে সোমা রাণীর অবস্থা দিন দিন খুব খারাপ হয়ে পড়ে। পরে আবার সোমা রাণী কে নিয়ে যাওয়া হয় হাফিজা ক্লিনিকে। সেখানে ক্লিনিক ম্যানেজার রনজিৎ পাল ও ডা: দিনেশ কুমার বলে, ৩হাজার টাকা লাগবে সোমা রাণীর পেট কেটে দেখতে হবে। ৩হাজার টাকা নিয়ে আবারও সোমা রাণীর অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই অস্ত্রোপচারেও ১২ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। এরপরেও সোমা রাণীর শরীরের অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ক্লিনিক ম্যানেজার বলে ভাল চিকিৎসা করতে হলে সাতক্ষীরা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে ভাল চিকিৎসা না হওয়ায় অবশেষে সাতক্ষীরার বুশরা হাসপাতালে নিয়ে সোমা রাণী কে ভর্তি করা হলে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ শরিফুল ইসলাম সাথে সাথে সোমা রাণীকে অস্ত্রোপচার করেন।
আরও পড়ুন: সিজারের সময় নাড়ি কর্তন, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে গৃহবধু
সেখানে কর্মরত চিকিৎসকগণ জানান, ঠিকমতো সেজারিয়ান অপারেশন না হওয়ায় পায়খানার নাড়িতে ঘা হয়ে পচন ধরেছে। বর্তমানে রোগীকে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে বাথরুম করানো হচ্ছে। ৩মাস ধরে চিকিৎসা করতে হবে। এত দিন ধরে চিকিৎসা করতে হলে প্রায় ১ লাখ টাকার খরচ হবে। হতদরিদ্র দিনমজুর এর পক্ষে তার মেয়েকে চিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি এসব কথা উল্লেখ্য করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের নিকট চিকিৎসার ব্যয়ভার সহ ক্ষতিপুরুণ দাবি করেন। একইসাথে এরকম পরিস্থিতিতে আর কারো যেন না পড়তে হয় তার জন্য হাফিজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।