সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামে স্বামী, স্ত্রী ও দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত শাহীনুর রহমানের শাশুড়ি কলারোয়া উপজেলা ওফাপুর গ্রামের রাশেদ গাজীর স্ত্রী মোছাঃ ময়না খাতুন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় কোন অসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে কলারোয়া থানায় দায়ের করা হত্যা মামলাটির তদন্তের ভার রাতেই সাতক্ষীরা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে। সিআইডি’র পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্তভার পেয়েছেন। হত্যা মামলা সর্ম্পকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলামকে সাতক্ষীরা সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়েছে। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান গেছে।
অপরদিকে সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত এই হত্যাকান্ডের এখনো পর্যন্ত কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে কি কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য সিআইডি ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ভোররাতে কোন একসময় দুর্বৃত্তারা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের মৃত শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমানের ঘরে ঢুকে মোঃ শাহীনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ৯ বছরের শিশু ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও ৬ বছরের শিশু কন্যা তাসমিন সুলতানাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় তাদের চার মাসের শিশু কন্যা মারিয়া খাতুন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তাফা কামাল এতিম শিশু মারিয়া’র দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যার ঘটনায় পরিবারের স্বজনদের মাঝে এখনো চলছে শোকের মাতম। গোটা উপজেলা ব্যাপী নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সঠিকভাবে তদন্তের জন্য মামলাটি গতকাল রাতেই সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ঘাটনে ইতিমধ্যে সিআইড ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। তবে এঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
খুলনা গেজেট / এমএম