সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আলোচিত দুই সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী খুনের ঘটনায় তথ্য অনুসন্ধানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)’র একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। চার খুনের প্রধান সন্দেহভাজন নিহত শাহিনুরের ছোট ভাই রায়হানুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সিআইডির ঢাকার একটি টিম সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসী গ্রামে ঘটনাস্থলে দিনব্যাপী এই কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন সিআইডি ঢাকা জোনের এডি ডিআইজি ওমর ফারুক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিআইডি সাতক্ষীরার বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দিনসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাগণ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণকালে সিআইডি ঢাকা জোনের এডি ডিআইজি ওমর ফারুক নিহত শাহিনুর রহমান, স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি ও মেয়ে তাসনিম তাসলিমার মরদেহ যারা দেখেছিলেন তাদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের বক্তব্য শোনেন। এসময় তিনি ঘটনাস্থলের খুঁটিনাটি বিষয়ে খুঁজে দেখেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ শেষে সিআইডি ঢাকা জোনের এডি ডিআইজি ওমর ফারুক বলেন, কলারোয়ার আলোচিত চার খুনের ঘটনা এই মুহূর্তে তদন্ত চলছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এই বিষয়ে যেকোন অগ্রগতি হলে গণমাধ্যমকে তা যথা সময়ে অবগত করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ভোররাতে কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের মৃত শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমানের ঘরে ঢুকে মোঃ শাহীনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ৯ বছরের শিশু ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও ৬ বছরের শিশু কন্যা তাসমিন সুলতানাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
রাতে নিহত শাহিনুরের শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা (নং ১৪) দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডি পুলিশকে। ঘটনার দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় নিহতের ছোট ভাই রায়হানুলকে। পরের দিন রায়হানুলকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডে নিয়েছে সিআইডি।
খুলনা গেজেট/এনএম