কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলার লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন ও মুক্তমঞ্চের কাছাকাছি প্রাঙ্গণে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত হল সামাজিক উপন্যাস ” মিঞাবাড়ির মেয়ে”।
সাংবাদিক মোহাম্মদ সাদউদ্দিনের লিখিত উপন্যাসটি আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উম্মোচন করেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: প্রকাশ মল্লিক । উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন নিবন্ধক অধ্যাপক নীতিশ বিশ্বাস,ডা: নীলকমল বর্মণ, নিষ্পলক পত্রিকার জগদীশ চন্দ্র সর্দার, বাকচর্চার অন্যতম কর্ণধার সলমন হেলাল , লেখক মোহাম্মদ সাদউদ্দিন নিজেও। পরে যোগ দেন প্রাক্তন আধিকারিক ইনাসউদ্দীন, প্রাবন্ধিক সামসুল আলম, জনতার আদালত পত্রিকার হম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান ভারতে যে ধরনের বিভাজন তৈরি করছে, সামাজিকভাবে মেলামেশা করতে দিচ্ছে না, নিজ নিজ সমাজেও অভিজাত-অনভিজাতের দ্বন্দ্ব কীভাবে নায়ক-নায়িকার মিলনে বাধা সেই সামন্ততান্ত্রিক, গ্রামীণ জমিদার-জোতদারদের ইগো-অহঙ্কারের চালচিত্র ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। এসেছে সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজের অনেক ইতিবাচক চালচিত্র। না, আমরা কোনো ধরণের বিভাজন ও সংকীর্ণতার মধ্যে আর থাকতে চাই না। উপন্যাসের প্রধান দুই চরিত্র সৈয়দুল হক ও সৈয়দা রত্না খাতুনের মিলন ও বিয়েতে বড় বাধা গ্রামীণ সামন্ত প্রভুরা। সেই সংকীর্ণতা সৈদুল-রত্নাকে মিলতে না দিলেও রত্না আস্তে আস্তে গ্রামের মধ্যেই একটা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল করে ফেলেছে। আর এক্ষেত্রে নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা ছিল সৈদুলের। ছিল সাধারণ মানুষের। কেন না সৈয়দুল পরবর্তীতে হয়েছিলেন শিক্ষা বিভাগের পরিদর্শক। তাদের মিলন না হলেও ভালোবাসা ছিল গভীর। আর তাই সেটাই ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক মোহাম্মদ সাদউদ্দিন । ভবিষ্যতে লেখকের কাছ থেকে এই ধরণের আরো ভালো উপন্যাস ভবিষ্যতে পাব।
খুলনা গেজেট/কেডি