জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতায় তিন দিন ব্যাপী বিজয় উৎসব শুরু হয়েছে।
কলকাতা উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে বাংলাদেশ-এর মহান বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫১ বছর; অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশ আর ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক অন্যন্য নজির স্থাপন করে চলেছে।
বাংলাদেশের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো: শাহ আজম আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে।
স্টেটসম্যানের সাবেক সম্পাদক, মানষ ঘোষ একত্তরের অঙ্গিঝরা দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় শেখ হাসিনা থাকলে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে ভারত নিশ্চিন্তে থাকতে পারে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক ও শোষনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
মান্যবর উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা তিনি দৃঢ়তার সাথে স্মরন করেন। তিনি প্রত্যয় প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সোনালী অধ্যায়ের বন্ধুত্বকে আগামী দিনে আরো সুদৃঢ় করতে সাহায্য করবে।
দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এনআরবি ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ।