শনিবার থেকে কলকাতায় শুরু হল চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। এদিন কলকাতার রবীন্দ্রসদনে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দুই বাংলার সম্পর্কের ক্ষেত্রে সিনেমা হতে পারে একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল কোনো দিন ভাগ হতে পারে না। একটা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। সেই লড়াইয়ের শরীক ছিল কলকাতা ও ভারত। তাই ভারত-বাংলাদেশ পরস্পরের আত্মা। সিনেমা দুইদেশে যাতে বেশি বেশি করে দেখা যায় তার জন্য আমরা আরো বেশি বেশি করে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করব।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের তথা-প্রযক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আবার দুই দেশের যুদ্ধসঙ্গীত লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। তাই বাঙালির সাংস্কৃতিক সমন্বয় জরুরি। এদিন অন্যনাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের এম পি সাইমুন সারোয়ার কমল, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রেস সচিব রঞ্জন সেন, কলকাতার বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ প্রমুখ।
৫দিনের চলচ্চিত্র উৎসবে মোট ৩৭ টি ছবি দেখানো হবে। কিন্তু প্রথম দিনেই ‘হাওয়া’ ছবি ভীষণ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই ছবি যাতে বেশি করে দেখানো যায় তার জন্য কলকাতা বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ তথ্য-সম্প্রচার দপ্তর বিশেষ উদ্যোগ নেবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই