খুলনায় আশংকাজনক ভাবে করোনা ভাইরাস বিস্তার, মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক হওয়া, চিকিৎসা সেবার ঘাটতি, স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউনে শিথিলতা ও প্রশাসনের নজরদারী এবং আইন প্রয়োগে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় খুলনা মহানগর বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।
প্রদত্ত বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের দুর্বল প্রস্তুতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, প্রায় দেড় বছর সময় পেলেও বিভাগীয় শহরগুলিতে করোনা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় সকল ধরনের সার্পোট না দেয়া, করোনা সংক্রামণ আর বৃদ্ধি পাবে না এই ভুল ধারনা থেকে প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় গঠিত সকল ধরনের প্রস্তুতিতে গা ছাড়া ভাব, বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ না করে টাকা বাঁচানোর মানসিকতায় কোন কাজ না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকায় আজ জনগণ চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরও বলেছেন, সরকার কাজের চেয়ে কথা বেশী বলছে। করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে সরকারের কোন দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা না থাকায় সরকার মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়েছে। সমগ্র দেশের চিত্র মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পরই সরকার সেই দিকে দৌড়াচ্ছে। দেশের চতুরদিক থেকে করোনায় ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আটকানোর সকল প্রচেষ্টা বজ্র আটুনি ফলকা গেরোতে পরিণত হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাস রোধ, তার চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম কার্যত: লেজে গোবরে পরিণত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় একলা চলো নীতি বাদ দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, জনবল বাড়ানো ও প্রশাসন এবং আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামানো ও বিভাগীয় শহরগুলিতে বড় বড় একাধিক হাসপাতাল স্থাপন করে পরিস্থিতি সামাল দেবার জোর দাবী জানান।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।