করোনা সংক্রমণ রোধে শার্শা উপজেলার ১০১ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। ভারতীয় পন্যবাহি ট্রাক চালকরা যেন বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং ২৪ ঘন্টা টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) সকালে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা খুলনা গেজেটকে বলেন, বিজিবি সদস্যরা স্থলবন্দরসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় চলাচলকারী লোকজনদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সচেতন করছে। আর অবৈধভাবে কেউ যেন সীমান্ত পারাপার করতে না পারে সেজন্য পুরো সীমান্ত জুড়ে বাডতি বিজিবি মোতাযেন করা হয়েছে। বিজিবির টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ গমনাগমনের যেন করতে না পারে সেই জন্য বিজিবি চৌকি চেকপোস্টে জনবল বাডানো হয়েছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে শার্শা উপজেলার সব সীমান্তবর্তী এলাকা বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের সাদিপুর, বড়আচড়া, গাতিপাড়া, দৌলতপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা ধান্যখোলা, শালকোনা, শিকারপুর, কাশিপুর ও বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় অবৈধ যাতায়াত প্রতিরোধে বিজিবি সদস্য টহল দিচ্ছে।
বেনাপোল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার খুলনা গেজেটকে জানান, আমার এলাকার সাধারণ মানুষদের করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ি থেকে বাহিরে বের না হয় সে ব্যাপারে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব খুলনা গেজেটকে বলেন, গতকাল ভারত থেকে ৭০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন আর ভারতে ফিরে গেছেন ৫১ জন ভারতীয়। ফেরত আসাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পুলিশের সহযোগিতায় বেনাপোল ও যশোরের বিভিন্ন হোটেল ও গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে।