করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) মহামারি ঠেকাতে ফাইজারের তৈরি টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। বুধবার (১৮ নভেম্বর) মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান এ দাবি করেছে। এই টিকায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি বলে দাবি ফাইজারের।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে শেষ পর্যায়ে পরীক্ষায় থাকা করোনার টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে গেল ফাইজার। ফাইজার বলছে, তাদের এই টিকা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ কার্যকর।
মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে এই টিকা তৈরিতে কাজ করছে জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘বায়োএনটেক’। বায়োএনটেক বলছে, তারা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এই টিকা জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদনের পরিকল্পনা করছে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা জানায়, নতুন এই ফলাফল টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় তাদের আট মাসের যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তারা এমন এক টিকা তৈরি করার প্রক্রিয়ায় আছেন, যা ভয়াবহ করোনা মহামারি ঠেকাতে কার্যকর হবে।
ফাইজারের এই টিকা একজন মানুষের শরীরে দুই ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। যদি এফডিএ এই টিকার অনুমোদন দেয়, তাহলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন এই প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ডোজ পর্যন্ত টিকা সরবরাহ করতে পারবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ টিকার এই সরবরাহ বেড়ে গিয়ে ১৩০ কোটি ডোজ পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে। তবে চলতি বছর উৎপাদিত টিকার অর্ধেকের মতো শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সরবরাহ করা হবে।
ফাইজার ৯ নভেম্বর জানিয়েছিল, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তখন জানানো হয়েছিল। সেই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি মডার্না ইনকর্পোরেশন গত সোমবার জানায়, তাদের তৈরি টিকা করোনা ঠেকাতে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।
খুলনা গেজেট / এআর