ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা প্রতি বছরই পশু কোরবানি করে থাকি।
তবে এবার পশু কোরবানির সময় সংক্রমণ রোধে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।করোনাভাইরাসের কারণে মানতে হবে বাড়তি আরও কিছু নিয়ম।
করোনাকালে পশু কোরবানি ও সংক্রমণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আলী (কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুধ খামার সাভার, ঢাকা)।
তিনি বলেন, পশু কোরবানির পর সংক্রমণ ও যে কোনো রোগ–বালাই থেকে নিরাপদে থাকতে অবশ্যই সবসময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর করোনার এ সময়ে মানতে হবে বাড়তি আরও কিছু নিয়ম।
আসুন জেনে নিই এই সময়ে পশু কোরবানির বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ আলীর পরামর্শ–
১. যে স্থানে পশু কোরবানি করা হবে, সেখানে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২. কোরবানির কাজটি সম্পূর্ণ করতে অবশ্যই মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৩. কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য একটি গর্ত করুন ও জবাই শেষে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন।
৪. কোরবানির স্থানে অযথা বেশি লোকসমাগম করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনে কোরবানি সম্পন্ন করুন।
৫. কোরবানি ও মাংস তৈরির আগে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
৬. কোরবানির স্থানে ডেটল, ব্লিচিং পাউডার অথবা জীবাণুনাশক স্প্রে করুন।
৭. কোরবানি শেষে কুসুম কুসুম গরমপানি দিয়ে গোসল করুন ও গায়ের পোশাক পরিষ্কার করুন।
৮. কোরবানি বর্জ সঠিক স্থানে ফেলুন। এ ছাড়া যে জায়গায় পশু জবাই করা হবে, সেখানে রক্ত লেগে থাকলে পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন।
৯. কোরবানির মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিতরণ করুন।
১০. অযথা কোথাও জটলা পাকাবেন না। নিজে ও পরিবারের প্রতি যত্নশীল হোন।
খুলনা গেজেট/এমএম