আজ দুঃখ হয় যখন দেখি করোনা পরীক্ষায় দুর্নীতি হয় এবং তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা জড়িত। আজকের পত্রিকায় আছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে এখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে মন্ত্রণালয় থেকে না বললে রিজেন্ট হাসপাতালকে (করোনা পরীক্ষার) অনুমোদন দিতাম না। অর্থাৎ মিনিস্ট্রি থেকে বলা হয়েছে রিজেন্ট হসপিটালকে অনুমতি দাও, তারা পরীক্ষা করবে। তাহলে কে রেসপন্সিবল? স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই। তার এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। রোববার দুপুরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে (জেডআরএফ) কোভিড ১৯ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় ভার্চ্যুয়াল হটলাইন কল সেন্টার উদ্বোধনের সময় উত্তরার বাসা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে ফেলেছে। যে হারে লুটপাট করেছে আপনারা সবাই গণমাধ্যমে দেখেছেন। আমি গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, এই চরম বৈরিতার মধ্যেও যখন কোনো সংবাদ প্রকাশ করাও বিপদজনক তখন তারা অনেকটা প্রকাশ করছেন, যেগুলো জনগণ জানতে পারছে।
তিনি বলেন, যেহেতু এই সরকার নির্বাচিত নয়, প্রথম থেকেই তারা অজ্ঞতা ও পরবর্তীকালে উদাসীনতা দেখিয়েছে। জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষার যে কাজ সেই কাজগুলোতে তারা একেবারেই আগ্রহী নয়।
‘এই মহামারির এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ অথবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। সারাবিশ্বের চিকিৎসকরা চেষ্টা চালাচ্ছে। সারাবিশ্ব বিপদের সম্মুখীন। ৬ মাস গোটা পৃথিবী থমকে গেছে। উৎপাদন কমে গেছে। সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। বিশ্ব নেতারা একটা প্রতিষেধক বের করার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তারা তাদের রাষ্ট্র, জনগণ ও অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।’
তিনি বলেন, গোটা পৃথিবীর সভ্যতা আগের অবস্থায় আর থাকবে না। এটা পরিবর্তন হবে, হচ্ছে। কী বদলাবে কীভাবে বদলাবে সেটা আমরা জানি না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। এই যে সরকার আমাদের অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। এই চরম সময়েও তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। তারা লুট করছে। তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনকে এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। পরে ০৯৬৭৮১০২১০২ নম্বরে ফোন দিয়ে হটলাইন কলসেন্টারের উদ্বোধন করেন।
ফোন করে নিজের পরিচয় দিয়ে মির্জা ফখরুল জানতে চান আমার শরীর খারাপ হলে এই নম্বরে ফোন করলে কী ধরনের সেবা পাবো? তখন অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়, আপনি চিকিৎসাসেবা পাবেন। উপসর্গ শুনে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, আজ অনুষ্ঠানে যোগ না দিলে আমি নিজেও অনেক কিছু জানতাম না। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার।