দেশে গত ১১ মাসে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দুই হাজার আটজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস)। করোনা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দেশের ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে বিপিও।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩০৩টি বিক্ষোভ, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ১৫২টি সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় ২৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬১০ জন। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের সংবাদ বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিপিও।
গবেষণা প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ মৃত্যু কুমিল্লায়। এরপর চাঁদপুরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫৭ জন। এছাড়া খুলনায় ১১০ জন, সাতক্ষীরায় ১০৭ জন, চট্টগ্রামে ১০৩ জন, ঢাকায় ৯০ জন, বরিশালে ৮৯ জন, রাজশাহীতে ৬৩ জন, বগুড়ায় ৫৯ জন ও পটুয়াখালীতে ৫১ জন মারা গেছেন।
প্রতিবেদন বলছে, বিভাগের মধ্যে সর্বাধিক ৭৩৩ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৩৯৪ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫৬ জন, রাজশাহীতে ২২৩ জন, বরিশালে ২৪৪ জন, সিলেটে ১০২ জন, রংপুর ৯৫ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৬১ জন। উপসর্গে মৃতের নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা চার গুণ বেশি। করোনা উপসর্গ নিয়ে নারী মারা গেছেন ৪৩৬ জন এবং পুরুষ মারা গেছেন এক হাজার ৭৭২ জন।
বিপিও জানিয়েছে, তারা ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে। ২০২০ সালের ২২ থেকে ২৮ মার্চের সপ্তাহে করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরের সপ্তাহে তা বেড়ে ৬৩ জনে দাঁড়ায়। গত ২১ থেকে ২৭ জুন এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৬টি ঘটনায় ৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ত্রাণ কেলেঙ্কারি, খাদ্যে ভেজাল ও করোনাভাইরাসের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের মতো অনিয়ম ও অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ৮৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭৩০ জনকে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৪৫টি নির্যাতন ও সামাজিক কলঙ্ক দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩০৩টি বিক্ষোভ, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ১৫২টি সংঘর্ষ এবং এসব ঘটনায় ২৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬১০ জন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন