করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সমেক) হাসপাতালে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ভোর রাত দেড়টা থেকে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ তাহমিনা খাতুন (৪২), সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৪০) ও শ্যামনগর উপজেলার সোরা গ্রামের মৃত মোনহর আলী মোল্যার ছেলে কলিমুদ্দিন মোল্যা (৬৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী তাহমিনা খাতুন সামেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ভোর রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন গত ১৪ জুন রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের সময় তিনি মারা যান।
অপরদিকে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ জুন বেলা পৌনে ৩টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন শ্যামনগর উপজেলার সোরা গ্রামের কলিমুদ্দিন মোল্যা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে শ্যামনগরের আশুতোষ ঘোষ খুমেক হাসপতাালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছে। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে খুমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এনিয়ে করোনা ভাইরাস উপসর্গে সাতক্ষীরা জেলায় ১৭ জুন পর্যন্ত মারা গেছে অন্ততঃ ২৫৮ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রন্ত হয়ে মারা গেছে ৫৬ জন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৮ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা এসব মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই