করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণহানি আবারও পঞ্চাশের নিচে নেমে এসেছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৪ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪৯ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০৯ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪১১ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩ হাজার ৫১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৮৪ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫১৪ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার ৬১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৬ জন মারা গেছেন।
ফান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ২১০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৮৬ হাজার ৫৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩১১ জনের। একইসময়ে ইসরায়েলে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৯ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন।
ইন্দোনেশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৮ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৫১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৭১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ডেনমার্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি।
খুলনা গেজেট/এসজেড