খুলনায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর নুরনগরে করোনা ডেডিকেটেড (ডায়াবেটিক) হাসপাতালে বুধবার আলাদা আলাদা সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে খুলনায় করেনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৫-এ। এদিকে গত দুই দিনে খুলনায় নতুন করে ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) খুলনা গেজেটকে বলেন, নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মানিকতলা এলাকার বাসিন্দা হামেদ আলীর পুত্র দাউদ ফরাজী করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ অক্টোবর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুর ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা মৃত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী সাহেদা বেগম(৬৫)কে মঙ্গলবার গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে। এরপর মঙ্গলবার বিকেলেই নুরনগরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা দেড়টায় তার মৃত্যু হয়।
যশোর জেলার অভয়নগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান এর স্ত্রী রেহেনা (৫০) গত ২৮ অক্টোবর থেকে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়। তাদের প্রত্যেকের মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর মেশিনে গত দুই দিনে নতুন করে ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ জানান, ৩ নভেম্বর ২৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় এর মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১১৬টি। মোট পজেটিভ ১৬টি এর মধ্যে খুলনার পজেটিভ ৮টি। খুলনার বাইরে যশোরে ৪টি মাগুরায় ১ ঝিনাইদহে ১ ও সাতক্ষীরায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর ২ নভেম্বর ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১০৪টি। মোট পজেটিভ ১৫টি এর মধ্যে খুলনার পজেটিভ ৭টি। খুলনার বাইরে যশোরে ২টি মাগুরায় ১ ও সাতক্ষীরায় ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
খুলনা গেজেট / এমবিএইচ