সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে কয়েক দফা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর এলসি বাতিল হলেও জুন মাসে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি বাণিজ্য ঘুরে দাড়িয়েছে। এপ্র্রিল ও মে মাসের তুলনায় দ্বিগুণ কনটেইনার চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। ফলে সংকট কিছুটা কেটে গেছে। হিমায়িত কারখানাগুলোতে পূর্বের দামে চিংড়ি বিকিকিনি শুরু হয়েছে।
গত বছরের ৬ মার্চ খুলনা অঞ্চলে করোনা দেখা দেওয়ার পর স্থানীয় হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে মন্দাভাব দেখা দেয়। মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে হিমায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বাগদা চিংড়ি প্রকারভেদে কেজি প্রতি ৮শ’ টাকার স্থলে ৫শ’ টাকা করে ক্রয় করে। করোনা শুরু হওয়ার পর জার্মান, জাপান, বেলজিয়াম ও পর্তুগাল এলসি বাতিল করে। সিঙ্গাপুর সমুদ্র বন্দরে চিংড়ি বোঝাই কনটেইনারে জট পড়ে। এসি বাতিল করার সুযোগ নিয়ে হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কম দামে চিংড়ি ক্রয় করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা ডিপো মালিকদের টাকা বকেয়া রেখেছে। এ ধারাবাহিকতায় চিংড়ি চাষীদেরও টাকা বকেয়া পড়েছে।
বাংলাদেশ ফ্রজেন ফুডস এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের খুলনার শাখার সূত্র জানায়, এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ১২৫ কনটেইনার, মে মাসে ১৫০ কনটেইনার এবং জুন মাসে ২৩০ কনটেইনার হিমায়িত চিংড়ি মংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে।
এসোসিয়েশনের খুলনা শাখার সহ-সভাপতি এম হুমায়ুন কবীর জানান, চিংড়ি রপ্তানি বাজারের মন্দাভাব কেটে গেছে। জাপান, ইংল্যান্ড, স্পেন, বেলজিয়াম, রাশিয়া, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, সৌদী ও দুবাইতে চিংড়ি রপ্তানী শুরু হয়েছে। স্থানীয় রপ্তানীকারকরাও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হচ্ছেন। জুন মাসে আড়াই শ’ কোটি টাকার চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এরমধ্যে সৌদি ও দুবাইতে চিংড়ির নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে বাগদা ও হরিণা চিংড়ির পরিমাণ বেশি। স্থানীয় পর্যায়ে ২৪টি হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মন্দাভাব কেটে গেছে। তারা শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ করে দিচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম