কোভিডের দু’টি টিকা নেওয়ার পরও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিনে দিনে কমে আসে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপ যে গতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ভারতেও বুস্টার টিকা অর্থাৎ তৃতীয় টিকা দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করতে হবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন এমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স) ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
ভারতেই প্রথম ডেল্টা রূপের হদিশ মিলেছিল। এখন তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে ডেল্টা রূপের হানায় সংক্রমিত হচ্ছেন মানুষ। আমেরিকার সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, সে দেশে নতুন করে যাঁরা করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাঁদের প্রায় ৮৩ শতাংশের শরীরে ডেল্টার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
ভারতেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে ডেল্টাই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এই বিষয়টি নজরে রেখেই এমস অধিকর্তা বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের যে সব নতুন রূপের হদিশ মিলছে, তার থেকে বাঁচতে বুস্টার টিকা নিতে হতে পারে।” তবে দেশের সব নাগরিককে টিকা দেওয়ার পরই সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়াও তাঁর বক্তব্য, দ্বিতীয় ধাপে যে সব টিকা বাজারে আসবে, সেগুলিকেই বুস্টার টিকা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, সেই সব টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রথম ধাপের টিকার তুলনায় স্বাভাবিক ভাবেই বেশি হবে।
কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেকও ইতিমধ্যেই বুস্টার টিকা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছে। ওই ট্রায়ালের প্রথম দফার রিপোর্টও নভেম্বরের মধ্যে হাতে পাওয়া যাবে জানা যাচ্ছে। আনন্দবাজার পত্রিকা।
খুলনা গেজেট/ টি আই