টাঙ্গাইলে নিজ এলাকায় করোনার টিকা নিলেন অভিনয়শিল্পী নাঈম-শাবনাজ দম্পতি। প্রথমে ইচ্ছা ছিল, ঢাকায় গিয়ে করোনা ভ্যাকসিন নেবেন। কিন্তু গ্রামের মানুষ যাতে টিকার ব্যাপারে সচেতন হয়, সে কারণে তাঁরা নিজের এলাকাতেই টিকা নিয়েছেন। আজ দুপুরে এই দম্পতি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেন। তাঁরা জানান, এই দিনের জন্য দীর্ঘদিন প্রতীক্ষা করেছিলেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই জুটি ও দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর বাইরে নিজের এলাকা টাঙ্গাইলে থাকেন। গ্রামের মানুষদের নিয়ে নানা রকম সচেতনতামূলক কাজ করছেন নিয়মিত। করোনার মধ্যেও গ্রামের মানুষের পাশে ছিলেন তাঁরা। নাঈম জানান, গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত তাঁদের যোগাযোগ হয়। নিজেকে গ্রামের মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতেই তাঁর ভালো লাগে। প্রায় ১৪টি গ্রামের মানুষের সঙ্গে তাঁর জানাশোনা। দেশে পাঁচ দিন ধরে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হলেও সেই খবর গ্রামের অনেকেই জানেন না। যাঁরা জানেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে ভয়ে টিকা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। অনেকেই টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছেন না। এসব মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করছেন এই দম্পতি।
তাঁদের উৎসাহিত করতে টিকা নিয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি এখানে, থাকছিও এখানে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্ক। খোঁজ নিয়ে দেখলাম এলাকার বেশির ভাগ মানুষই এ বিষয়ে সচেতন না। অনেকেই টিকার কথা শুনে ভয় পাচ্ছেন। কারণ তাঁরা টিকা নিতে অভ্যস্ত না। কোভিড-১৯ নিয়েও অনেকেই সচেতন না। সেসব কারণেই মনে হলো আমরা টিকা নিলে অনেকেই সাহস পাবেন।’
করোনায় নাঈম-শাবনাজের বেশির ভাগ সময় কেটেছে গ্রামে। নাঈমের বাবা মারা যান ১৯৯৪ সালে। তারপর থেকেই তিনি গ্রামে বাবার কাজগুলো দেখাশোনা করছেন। প্রথম দিকে শখের বসেই ধান চাষ, গবাদিপশু পালন এবং অন্যান্য কৃষিকাজ করতেন। এখন এগুলোর মধ্যেই শান্তি খুঁজে পান নাঈম। কৃষিই তাঁর বর্তমান পেশা। কাজগুলো করতে তাঁর ভালো লাগে। এসব কাজে সহযোগিতা করেন শাবনাজ। এই অভিনেত্রী প্রথম থেকেই নিয়মিত নাঈমকে সব কাজে সহযোগিতা করে আসছেন।
খুলনা গেজেট/কেএম