খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

করোনার চিকিৎসা নেওয়া ৮২ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত

গে‌জেট ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে (৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নেওয়া ৮২ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আর বাকি ১৮ শতাংশ রোগী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।

বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল হাসপাতালে যারা গেছেন তাদের ২০ শতাংশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।

আজ বৃহস্পতিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএসএমএমইউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এই তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ৯ জানুয়ারি থেকে এ মাসের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট ভর্তি রোগী এবং বহির্বিভাগে আসা রোগীদের ৮২ শতাংশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এবং ১৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত পেয়েছি। এই সময়ে ওমিক্রনের তিনটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সেগুলো হলো BA.1, BA.1.1, BA.2। এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্যমতে BA.2 বেশি সংক্রামক।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও জানান, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে অনেক বেশি সংক্রামক। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেনোমে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশির ভাগ ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে হয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়ে থাকে। আর স্পাইক প্রোটিনের গঠনগত বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু বলেন, কোভিড-১৯ এর জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য সার্স-কোভ-২ এর জেনোমের গঠন উন্মোচন ও পরিবর্তনের ধরণ এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৮ ভাইরাসের জেনোমের সাথে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা, ভাইরাসের বিবর্তনীয় সম্পর্ক, রোগের উপসর্গ, রোগের প্রখরতা, তুলনামূলক হাসপাতাল অবস্থানের মেয়াদকাল এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জেনোম ডাটাবেস তৈরি করা।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সিকোয়েন্সিং ডাটাবেজ জিন ব্যাঙ্কে বিএমএমইউয়ের ৯৩৭ টি ভাইরাল জেনোম জমা দেওয়া হয়েছে। জেনোমিক ডাটাবেজে বিএসএমএমইউ-এর এই গবেষণা ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক অবদানের একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

বিএসএমএমইউ-এর গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ১০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ৩০ থেকে ৫৯ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পুরুষ ও নারীদের আক্রান্তের হার প্রায় সম সংখ্যক; ৪৯% পুরুষ ৫১% নারী। কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে, যেমন- ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসতে রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের রোগের প্রকটতা বেশি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!