‘স্বাস্থ্যগত ও পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য করোনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন আমাদের জন্য এখন নতুন আরো একটি চ্যালেঞ্জ। যদি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা না যায় তাহলে এটি আমাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত ‘করোনাকালীণা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক অনলাইন সংলাপে এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন বক্তারা।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে এবং প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ গবেষক পাভেল পার্থ’র সঞ্চালনায় সংলাপে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুব্রত ঘোষ, সিডিও শ্যামনগরের পরিচালক গাজী ইমরান, সাতক্ষীরা ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি মঈনুল আমিন মিঠু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ধারণা পত্র পাঠ করেন বারসিকের সহকারি প্রোগ্রাম অফিসার আসাদুল ইসলাম।
সংলাপে বক্তারা বলেন, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হেড কভার, সু-কভার, গগলস, ফেইস শিল্ড বা গাউনসহ যেসব সুরক্ষা সামগ্রী করোনা মহামারীতে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দেখা দিচ্ছে নতুন সংকট। হুমকির মুখে পড়ছে করোনাকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। করোনায় ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রীর একটি বড় অংশ মানুষ রাস্তাঘাটসহ উন্মুক্ত জায়গায় ফেলে দিচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ গৃহস্থালির বর্জ্যের সঙ্গেই তাদের ব্যবহৃত করোনা বর্জ্য রাখছে এবং তা উন্মুক্ত স্থানে বা নির্দিষ্ট বর্জ্য ফেলার স্থানে ফেলছে।
কিন্তু কেউ ভাবছে না এসব বর্জ্যরে মাধ্যমে পথচারীসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সাথে যারা জড়িত তারাও সংক্রমিত হতে পারে। আবার এসব বর্জ্য সাধারণ বর্জ্যেরে সাথে মিশে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে। যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বা নতুন জনবল সৃষ্টি করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্ত, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশ ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সেটিও দূর করতে হবে। তা না হলে সকলেই এর পরিনাম ভোগ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দরকার করোনাসহ বিভিন্ন সংক্রামক বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে ব্যাপক প্রচার। দরকার করোনা প্রতিরোধ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি।
খুলনা গেজেট/ এস আই