কয়রা এলাকার মানুষ টেকসই ভেড়িবাঁধ চায়। অবিলম্বে সরকারের প্রতি আবেদন এই এলাকায় শক্ত ভেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বসতবাড়ি নির্মাণসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হোক। এ এলাকার মানুষ সব সময় প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবনধারন করে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিএনপির উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় রিমেলে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ভাগবা গ্রামের প্রাথমিক স্কুল মাঠে বেলা সাড়ে ১১টায় এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় দশালিয়া মসজিদ এলাকার ৩৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুর ইসলাম মঞ্জু।
তিনি আরও বলেন ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়িঘর। উপকূলীয় এলাকার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে, আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ঘরবাড়ি। এর আগেও আইলা ও সিডর এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িছে খুলনা বিএনপি। বিএনপি দেশের প্রকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষদের সাহায্য এগিয়ে এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে সব সময়। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ, সিমাই, চিনি ও গুড়াদুধ।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, ইউসুফ হারুন মজনু, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, শামসুজ্জামান চঞ্চল, ইশহাক তালুকদার, রফিকুল ইসলাম শুকুর, শামীম আশরাফ, রাজিবুল আলম বাপ্পি, মেম্বার মোস্তফা কামাল, সুলতান মাহমুদ সুমন, এস এম আলমগীর হোসেন, সালাউদ্দিন সান্নু, পারভেজ মোড়ল, মাসুদ রুমী, নাজমুস সাকিব, ডা. খোকন, শাহআলম, স্বপন মিস্ত্রি, ইসমাইল, তানভীর হোসেন, দ্বীন মোহাম্মদ, রবিন্দ্রনাথ, সোহাগ, তহিদুল ইসলাম রাব্বি, আলমগীর, আব্দুর রব, সোহেল রানা, ইয়াসীন গাজী, লোকমান মাস্টার, আরাফাত হোসেন, আব্দুর রহিম, শাহিনুর, রুহিন গাজী, মুন্না, জুয়েল গাজী, হুসাইন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি