সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ খুলনা রেঞ্জের অধীনস্থ কয়রা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে মহেশ্বরীপুর গ্রামের পাউবো বেড়িবাঁধে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা হরিণ শিকার, বিষ দিয়ে মাছ শিকারসহ বন কেন্দ্রিক নানা অপরাধের সাথে জড়িত। এরমধ্যে কয়েকজন সম্প্রতি হরিণ শিকারের মামলায় জামিন নিয়ে জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তারা এলাকায় আসার পরে কয়েক দিন ধরে বন কর্মকর্তাকে মারপিট করবেন বলেও বলাবলি করছিলেন। এলাকার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না।
কয়রা বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফারুকুল ইসলাম বলেন, আমি আজ সকালে সুন্দরবনের কয়রা নদী পেরিয়ে বয়েশ্বরপুর গ্রামের ফেরিবাদের উপর দিয়ে বোন বিভাগের বানিয়াখালী ফরেস্ট স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে ওই গ্রামের চিহ্নিত হরিণ শিকারি আজগর হোসেন, কামরুল ইসলাম, জুয়েল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমার উপর হামলা করেন। তারা আমাকে কিল ঘুষি মারতে মারতে বলে থাকেন আমি কেন তাদের নামে মামলা দিয়েছি। এ সময় চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আজগর হোসেন বলেন, আমি সুন্দরবনে কোন অপরাধ করিনি, তারপরও আমাকে জড়িয়ে বন কর্মকর্তারা মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমি বনকর্মকর্তা ফারুকুল ইসলামের কাছে বিষয়টি সোনা ও বোঝার চেষ্টা করেছি, সেখানে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক বলেন, আমরা হামলার খবর পেয়েছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
খুলনা গেজেট/এমএম